সূচি পত্র দেখুন
চুল পরা, আঁচিল, ব্রণ দাগ দুর করার সহজ উপায়
আস্সালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লা।
সুপ্রিয় আলোর পথের দর্শক মন্ডলী আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ মেহেরবানী ও দয়ায় আপনারা সবাই ভালো আছেন। একজন ভাই জিজ্ঞেস করেছেন, কোরআনী চিকিৎসা অনুযায়ী চুলপড়া, আঁচিল এবং মুখের দাগ দুর করার কি কোন আমল রয়েছে?প্রিয়ভাই আপনার প্রশ্নের উত্তরে প্রথমে বলতে চাই,
“ওয়া নুন্নাজ্জিলু মিনাল কুরআ’নি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রাহমাতুল্লিল মুকমিনিন„
পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটির অর্থ হচ্ছে,
আমি কুরআনুল কারীমে যা কিছু নাযীল করি,
তা হচ্ছে ঈমানদারের জন্য রোগ মুক্তি ও রহমত।সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ৮২।
আরো পড়ুনঃ 👉 ব্রণ দুর করার ১০০% কার্যকরী ক্রিম৷
তাই আমাদের ব্যক্তিগত জীবন হোক, শারীরিক সমস্যা হােক,মানুষিক সমস্যা হােক যেকোনাে প্রকার সংকটে এর সমাধানের জন্য আমাদেরকে কোরআনের কাছে ফিরে যেতে হবে। কোরআন সকল সংকটেরই সমাধান দিয়ে থাকে।আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর জন্যই তা একে পূর্ণাঙ্গ
জীবনবিধান বলেছেন।আজকে আমরা চুল পড়া বন্ধ এবং শরীরের দাগ তথাপি আঁচিল ব্রণ
এসব দূর করার একটি কোরআনী চিকিৎসা সম্পর্কে জানবো” ইনশাআল্লাহ।কুরআনুল কারীম যেহেতু আমাদের জন্য রোগমুক্তি ও শিফা,তাই কোরআনুল কারিমের ছােট্ট আয়াতগুলাের দ্বারা আমরা বিভিন্ন চিকিৎসা করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ! এছাড়া কুরআনুল কারিমের আয়াত হওয়ার কারণে প্রত্যেক হরফে দশটি করে নাকি ও লাভ করতে পারব।ইনশাআল্লাহ।
আরো পড়ুনঃ 👉 ব্রণ দুর করার কিছু কার্যকরী ঔষদ ৷
আর আমরা যারা পড়ছি তারা অবশ্যই অন্যদের কাছে সেয়ার করে এই চিকিৎসা গুলাে পৌছে দেব। যেন অন্যরা এর উপর আমল করার দ্বারা এই রােগ থেকে মুক্ত হতে পারেন, সাথে সাথে তারা আমল করার কারণে আমরাও তার ছাওয়াবের অধিকারী হতে পারি। এই আমলটি করার পূর্বে আমরা যে কোন দুরুদ শরীফ বেশ কয়েকবার পড়ে নিব। এরপর আউযুবিল্লাহ হিমিনাশ শাইত্বনের রজীম পড়ে কোরআনুল কারিমের এই বিশেষ আয়াতটি তেলাওয়াত করব। এবং সে আয়াতটি তেলোয়াত করার পরে আবারও দুরুদ শরীফ পড়বাে। আমলটি হল সূরা বাকারার ৭১ নং আয়াত।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, মুসাল্লামাতুল লা-শিয়াতা ফীহ।
এর অর্থ হচ্ছে, সম্পূর্ণ নিখুঁত ও ক্রুটিমুক্ত। প্রিয় দর্শক কোনাে মানুষই চায় না তার শরীরে কিংবা চেহারায় দাগ বা স্পট পড়ক। কিন্তু মানুষের শরীরে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে স্পট পড়ে থাকে। যা কখনাে যন্ত্রনা দায়ক হয়, আবার কখনাে দেখতে খারাপ লাগে। তাই শরীর ও চেহারার অযাচিত দাগ ও তার ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকবে। কোরআনের এই আমলটি নিয়মিত করে যাবেন।আমি আবারও বলছি, মুসাল্লামাতুল লা-শিয়াতা ফীহ। কোনাে ব্যক্তির শরীরে যদি অযাচিত কোনাে দাগ কিংবা যন্ত্রণাদায়ক স্পট পড়ে তবে সে ব্যক্তি যেন এই আয়াতাংশটি প্রতিদিন ৪১ বার পড়ে। নিয়মিত এই আমলের ফলে আল্লাহ তালা তাকে শারীরিক যেকোনাে স্পট বা দাগ ব্রন আঁচিল এই সকল যন্ত্রনা ও ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখবেন, ইনশাআল্লাহ।
মনে রাখবেন, আমলটি করতে হবে কিন্তু ঔষধ খাওয়ার পাশাপাশি। অর্থাৎ আপনি এই আয়াতটি ৪১ বার ২১ বার অথবা কমপক্ষে ৫ বার পড়ে আপনি আপনার যে ঔষধ সেবন করছেন অথবা মুখে কোনাে ক্রিম দিচ্ছেন অথবা আপনি কোনাে ঔষধ খাচ্ছেন, ঠিক সেই সেবনের পূর্বে উক্ত ঔষধে এই কোরআনের আয়াতটি পড়ে ফু দিবেন।যেমন চুল পড়া রােধ করার জন্য আপনি তেল ব্যবহারের পূর্বে এই আয়াতটি পড়ে তেলের মধ্যে ফু দিতে পারেন।
ইনশাআল্লাহ, আমরা এই রােগ গুলাে থেকে মুক্ত হতে পারবাে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে কোরআনুল কারীমের উপর পূর্ণ আমল
করার তৌফিক দান করুন। আমিন!