কর সনাক্তকরণ নম্বর বাংলাদেশ-Tax identification number bangladesh

কর সনাক্তকরণ নম্বর বাংলাদেশ-Tax identification number bangladesh

কর সনাক্তকরণ নম্বর বাংলাদেশ
 

বাংলাদেশে, কর সনাক্তকরণ নম্বরটি করদাতার সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নামে পরিচিত। এটি একটি অনন্য 10-সংখ্যার নম্বর যা করের উদ্দেশ্যে ব্যক্তি বা ব্যবসার জন্য বরাদ্দ করা হয়।

বাংলাদেশে একটি টিআইএন নম্বর পেতে, আপনি নীচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (NBR) ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: ক্লিক করুন

“টিআইএন নিবন্ধন” বোতামে ক্লিক করুন।

উপযুক্ত করদাতার ধরন নির্বাচন করুন, তা ব্যক্তি হোক বা ব্যবসা।

প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল ঠিকানা ইত্যাদি দিয়ে টিআইএন নিবন্ধন ফর্মটি পূরণ করুন।

প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন, যেমন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, বা ট্রেড লাইসেন্সের একটি অনুলিপি (ব্যবসায়ের জন্য)।

ফর্মটি জমা দিন এবং নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করুন।

নিশ্চিতকরণের পরে, আপনি আপনার টিআইএন নম্বর পাবেন, যেটি আপনি বাংলাদেশের সকল কর-সম্পর্কিত কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশের সকল করদাতাদের জন্য TIN রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক যারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করেন। তাই, আপনি যদি টিআইএন রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগ্য হন, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো আইনি সমস্যা এড়াতে এটি করা গুরুত্বপূর্ণ।

টিআইএন প্রসংশাপত্রটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে রয়েছে:

বাংলাদেশে, সাধারণত ব্যবহৃত শব্দটি হল “টিআইএন প্রসংশাপত্র”, যা করদাতার সনাক্তকরণ নম্বর প্রসংশাপত্রের জন্য দাঁড়ায়। টিআইএন প্রসংশাপত্র হল একটি নথি যা করের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর সাথে একজন ব্যক্তি বা ব্যবসার নিবন্ধন নিশ্চিত করে।

*আয়কর রিটার্ন দাখিল করা

*কর পরিশোধ করছেন

*ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা

*ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হচ্ছে

*সরকারী দরপত্র এবং চুক্তিতে অংশগ্রহণ করা

*পণ্য আমদানি ও রপ্তানি

*সরকারী সংস্থা থেকে বিভিন্ন লাইসেন্স এবং পারমিট প্রাপ্তি

সংক্ষেপে, TIN সার্টিফিকেট বাংলাদেশের ব্যক্তি এবং ব্যবসার জন্য ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স এবং অন্যান্য সম্পর্কিত কার্যক্রমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি।

বাংলাদেশে একটি টিআইএন প্রসংশাপত্র পেতে, আপনাকে এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

আপনার করদাতার ধরন নির্ধারণ করুন: প্রথম ধাপ হল আপনি যে ধরনের করদাতার অধীনে পড়েন তা নির্ধারণ করা। বাংলাদেশে তিন ধরনের করদাতা রয়েছে: ব্যক্তি, মালিকানা এবং কোম্পানি।

প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করুন: আপনার করদাতার প্রকারের উপর নির্ভর করে আপনাকে প্রয়োজনীয় নথি যেমন জাতীয় আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট, একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং অন্য কোনো সহায়ক নথি সংগ্রহ করতে হবে।

টিআইএন-এর জন্য নিবন্ধন করুন: আপনি অনলাইন বা অফলাইনে টিআইএন-এর জন্য নিবন্ধন করতে পারেন। অনলাইন নিবন্ধনের জন্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (NBR) ওয়েবসাইটে যান (www.nbr.gov.bd) এবং “টিআইএন নিবন্ধন” বিকল্পটি নির্বাচন করুন। অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য, আপনার নিকটতম ট্যাক্স সার্কেল অফিসে যান।

নিবন্ধন ফর্মটি পূরণ করুন: আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল ঠিকানা ইত্যাদি দিয়ে টিআইএন নিবন্ধন ফর্মটি পূরণ করতে হবে।

আবেদন জমা দিন: ফর্মটি পূরণ করার পরে, আপনাকে প্রয়োজনীয় নথি সহ আবেদন জমা দিতে হবে।

যাচাইকরণ এবং অনুমোদন: একবার আপনি আবেদন জমা দিলে, এনবিআর আপনার তথ্য এবং নথি যাচাই করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, আপনি কয়েক দিনের মধ্যে আপনার টিআইএন শংসাপত্র পাবেন।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশের সকল করদাতাদের জন্য TIN রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক যারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করেন। তাই, আপনি যদি টিআইএন রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগ্য হন, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো আইনি সমস্যা এড়াতে এটি করা গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে টিআইএন সার্টিফিকেট থাকার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এখানে কিছু মূল সুবিধা রয়েছে:

আয়কর রিটার্ন দাখিল করা: বাংলাদেশে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য একটি টিআইএন শংসাপত্র বাধ্যতামূলক। আপনি যদি আয় করেন, ব্যক্তি বা ব্যবসা হিসাবে, একটি টিআইএন শংসাপত্র থাকলে আপনার ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করা সহজ হয়।

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা: বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাঙ্কের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য একটি টিআইএন শংসাপত্রের প্রয়োজন হয়, তা ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টই হোক না কেন। একটি টিআইএন শংসাপত্র ছাড়া, একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা কঠিন হতে পারে।

দরপত্র এবং চুক্তিতে অংশগ্রহণ: অনেক সরকারী সংস্থার দরপত্র এবং চুক্তিতে অংশগ্রহণের জন্য দরদাতাদের একটি টিআইএন শংসাপত্র থাকতে হবে। তাই, একটি টিআইএন শংসাপত্র থাকলে আপনার দরপত্র এবং চুক্তি জেতার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

পণ্য আমদানি ও রপ্তানি: আমদানি ও রপ্তানিকারকদের আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের কাছ থেকে আমদানি নিবন্ধন শংসাপত্র (IRC) এবং রপ্তানি নিবন্ধন শংসাপত্র (ERC) পেতে একটি TIN শংসাপত্রের প্রয়োজন। এই সার্টিফিকেট ব্যতীত, আপনি বাংলাদেশে পণ্য আমদানি বা রপ্তানি করতে পারবেন না।

লাইসেন্স এবং পারমিট প্রাপ্তি: বিভিন্ন সরকারী সংস্থার লাইসেন্স এবং পারমিট ইস্যু করার জন্য একটি টিআইএন শংসাপত্র প্রয়োজন, যেমন ট্রেড লাইসেন্স, শিল্প লাইসেন্স এবং পরিবেশগত ছাড়পত্র।

বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করা: একটি টিআইএন শংসাপত্র থাকা ব্যক্তি এবং ব্যবসার জন্য বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নির্ভরযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে, এটি দেখায় যে তারা কর আইন এবং প্রবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

সংক্ষেপে, বাংলাদেশে একটি TIN শংসাপত্র থাকা কর সম্মতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করতে পারে, যেমন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, দরপত্র এবং চুক্তিতে অংশগ্রহণ করা, পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা এবং লাইসেন্স ও পারমিট প্রাপ্ত করা।

জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১) টিন সার্টিফিকেট থাকলেই কি কর দিতে হবে?

উত্তরঃ কেউ টিন সার্টিফিকেট তৈরি করলে স্বাভাবিক নিয়মে তাকে অবশ্যই কর দিতে হবে। যদি অতি প্রয়োজন না থাকে তাহলে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়াই উত্তম।

৩ শ্রেণীর মানুষের ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রম হবে এবং তাদের টিন সার্টিফিকেট থাকলেও কর দিতে হবে নাঃ

১) বাংলাদেশে ফিক্সড বেজ নেই এমন কোন অধিবাসী।

২) জমি বিক্রয়ের জন্য টিন সার্টিফিকেট গ্রহন করলেও করযোগ্য আয় নেই যাদের।

৩) ক্রেডিট কার্ড গ্রহনের জন্য টিন সার্টিফিকেট গ্রহন করলেও করযোগ্য আয় নেই যাদের।

২) একটি এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে কয়টি টিন সার্টিফিকেট তৈরি করা যাবে?

উত্তরঃ একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে শুধুমাত্র একটি টিন সার্টিফিকেটই তৈরি করা যাবে।

৩) টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়?

Leave a Comment